কুবি প্রতিনিধি:
আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৯ মে) বাদ জুমার পর কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় বিক্ষোভে 'স্বৈরাচার নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে,' 'ফাঁসি ফাঁসি চাই, শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই,' 'একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর', 'হাসিনা কেন ভারতে, ইন্টেরিম জবাব চাই', হামিদ কেন বিদেশে, ইন্টেরিম জবাব চাই', 'আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান, স্বৈরাচারের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান,' 'মুজিববাদ মূর্তাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ,' লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই' ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ বর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী পাভেল রানা বলেন, বারবার কেন আমাদের রাস্তায় নামতে হবে? কেন আন্দোলন, মিছিল ব্লকেড কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে গণজাগরণ তৈরি করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে? কয়েক হাজার মানুষের আর্তনাদ আমাদের কানে আসে, ইন্টেরিম সরকারের কানে কি সেই আর্তনাদ ভেসে আসে না? শুধু ছাত্রলীগ, যুবলীগকে নিষিদ্ধ করলে হবে না, অনতিবিলম্বে বাংলাদেশের দোসর, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সেই আওয়ামী লীগ, সেই খুনি বাহিনীকে এই বাংলার মাটি থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
কুবি শাখা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক হান্নান রাহিম বলেন, 'বিপ্লব কোনো নিয়ম মেনে হয় না, জুলাইয়ে যে বিপ্লব হয়েছে তা কোনো নিয়ম মেনে হয়নি। আমরা এখান থেকে বলে দিতে চায় কোনো কিন্তু ছাড়া আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে। জুলাইয়ে ঘোষণাপত্র অবিলম্বে দিতে হবে। আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলে দিতে চায় আপনারা কোন বা*ল ছেঁড়ার জন্য বসেছেন। আপনাদের কারো বা*ল ছেঁড়ার জন্য আমরা বসাইনি। আপনারা অবশ্যই আওয়ালীগের বিচার করবেন, আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ইসলাহী বলেন, 'শিবির সভাপতি বলেন, "দুই সহস্রাধিক শহিদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট। এতোয় শহিদের রক্তের উপর দাঁড়িয়েও তারা নয়মাস ধরে জুলুমকারীদের বিচার করতে পারছে না। আমাদের অনেক ভাই হাত পা হারিয়েছে এখনো হাসপাতালের বেডে পরে আছে এইসব বৈষম্য দেখার জন্য নয়। আমরা অতিদ্রুত আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ চাই এবং জুলাইলের ঘোষণাপত্র দেখতে চাই।